ঢাকা ০৬:২১ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৮ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, জেনেভার শ্রম কাউন্সেলরকে প্রত্যাহার ১৮৪ কোটি টাকা পাচার: বিএনপি নেতা ফালুসহ তিনজনকে অব্যাহতি সাবেক অতিরিক্ত সচিবের বাসায় যৌথবাহিনীর অভিযানে যা মিলল ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৬৬ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বিএনপি: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোষ্টগার্ডের অভিযানে দেশীয় অস্ত্র,বাহিনীর পোষাক ও মাদকসহ আটক-২ অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘোষণা আওয়ামীলীগের রাষ্ট্রপতি ইস্যু সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল ১‌ জনে হবে না, ৪ জন লাগবে : শ্রীলেখা মিত্র আপনার যেসব বদঅভ্যাসের কারণেই কমে যাচ্ছে স.হ.বা.সের চাহিদা

রিসেট বাটন কী, এটা চাপলে কী হয়

বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:১১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭৬৮৪ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

ইলেকট্রনিক্স পণ্য সম্পর্কে যারা সামান্য হলেও ধারণা রাখেন ‘রিসেট বাটন’ টার্মটি তাদের কাছে অপরিচিত নয়। বিশেষ করে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের প্রায় সকলেই ‘রিসেট’ বা ‘ফ্যাক্টরি রিসেট’ অপশনটির সাথে পরিচিত। কেননা আমাদের ফোনে পান থেকে চুনটি খসলেই ‘রিসেট’ করার প্রসঙ্গটি সামনে চলে আসে। এ যেন বর্তমান অসঙ্গতির সমাধানে পুরোনো সবকিছু মুছে ফেলে নতুন করে শুরুর প্রয়াস।

স্মার্টফোনের পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য যেমন পার্সোনাল কম্পিউটার (ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ উভয়ই), ট্যাবলেট, নেটওয়ার্ক রাউটার, এয়ারকন্ডিশনার, টিভি, ওয়াটার হিটার, এমনকি ডিশওয়াশারেও থাকে রিসেট বাটন বা অপশন। পণ্যভেদে ‘রিসেট’ ফাংশনের নাম ভিন্ন হলেও কাজ একই। চলুন রিসেট বাটন সম্পর্কে আলোচনা হয়ে যাক।

রিসেট শব্দের আভিধানিক অর্থ
গুগল ট্রান্সলেটে ইংরেজি ‘রিসেট’ শব্দটির বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় পুনঃস্থাপন করা বা পুনরায় স্থাপন করা। অর্থাৎ, কোনো কিছুকে তার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। সহজ করে বললে, পুনরায় বা নতুন করে ‘সেট’ করাই হলো ‘রিসেট’।

কলিন্স ডিকশনারি ‘রিসেট’ শব্দটিকে সংজ্ঞায়িত করেছে একটু অন্যভাবে। তাদের মতে, কোনো ডিভাইস বা মেশিনকে রিসেট করার অর্থ হলো এটিকে এমন একটি অবস্থায় নিয়ে আসা, যাতে এটি আবার কাজ করার উপযোগী হয়ে ওঠে। অর্থাৎ, উদ্ভূত কোনো সমস্যা সমাধানের প্রেক্ষাপটেই রিসেট করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।

রিসেট বাটন বা অপশন কী?
পার্সোনাল কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিক্স পণ্যে ‘রিসেট’ করার অর্থ হচ্ছে বিদ্যমান কোনো ত্রুটি বা সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে ডিভাইসের আভ্যন্তরীণ সিস্টেমকে স্বাভাবিক অবস্থায় বা প্রাথমিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া। আর রিসেটের মাধ্যমে এই পুরো কাজটিই করা হয় নিয়ন্ত্রিত উপায়ে।

সাধারণত কোনো সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতেই একজন ব্যবহারকারী সিস্টেম রিসেট করে থাকেন। অর্থাৎ, কোনো সমস্যা বা ত্রুটির প্রতিক্রিয়া হিসেবেই এই রিসেট বাটন বা অপশনের দ্বারস্থ হতে হয়। সিস্টেমে বিদ্যমান এক বা একাধিক ত্রুটির কারণে ডিভাইস কাজ করার অনুপযোগী হয়ে পড়লে কিংবা সিস্টেম পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে রিসেট বাটন বা অপশনকেই ত্রুটি সারানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হয়।

একটু অন্যভাবে বললে, রিসেট বাটন হলো হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যারের একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার ডিভাইস বা সিস্টেমকে স্বাভাবিক অবস্থায় বা সমস্যা-পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হয়। রিসেট বাটন টিপে বা রিসেট অপশনটি ব্যবহার করে সিস্টেম পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াটি ব্যবহারকারী নিজেই শুরু করতে পারেন।

সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার রিসেটের মধ্যে পার্থক্য
ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে ‘রিসেট’ বিষয়টি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার দু’রকমই হতে পারে। ডিভাইসের বডিতে উপস্থিত রিসেট বাটনটি চেপে (প্রেস করে) সিস্টেমের ত্রুটি সারানোই হলো সফটওয়্যার রিসেট। অন্যদিকে ডিভাইসের সফটওয়্যার ইন্টারফেস বা সেটিংস মেনু থেকে সিস্টেম রিসেট করাই হলো সফটওয়্যার রিসেট।

সাধারণত সফটওয়্যার রিসেট কাজ না করলে বা সিস্টেম কোনো কারণে হ্যাং করলে হার্ডওয়্যার রিসেটের পথে হাঁটতে হয়। অর্থাৎ, হার্ডওয়্যার রিসেট হচ্ছে কিছুটা জোর করে সিস্টেমকে রিসেট করানো, যা সাধারণত কাঙ্ক্ষিত নয়। অন্যদিকে সফটওয়্যার রিসেটে অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে ব্যবহারকারীর হাতে এবং এক্ষেত্রে রিসেট প্রক্রিয়া শুরুর আগে বেশ কিছু অতিরিক্ত অপশনও প্রদান করা হয় ব্যবহারকারীকে। এই যেমন মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম রিসেটের সময় ‘রিস্টার্ট’, ‘শাট ডাউন’, সিস্টেম ‘আপডেট’-এর মতো অপশনগুলো ব্যবহারের সুযোগ থাকে।

কোথায় থাকে রিসেট বাটন বা অপশন
সফটওয়্যার রিসেট সাধারণত ডিভাইসের সেটিংস মেনু বা স্টার্ট মেনুতে গিয়ে করতে হয়। অন্যদিকে হার্ডওয়্যারভিত্তিক রিসেট বাটন বিভিন্ন ডিভাইসে বিভিন্ন অবস্থানে দেখা যায়। এই যেমন ডেস্কটপ কম্পিউটারে ‘পাওয়ার’ বাটনের পাশে বা নিচেই সাধারণত ‘রিস্টার্ট’ বাটন দেখা হয়। আবার রাউটার ও মডেমের ক্ষেত্রে রিসেট বাটন দেওয়া থাকে ডিভাইসের পেছন দিকে। ল্যাপটপে রিসেট বাটন আলাদা করে থাকে না, তাই রিসেট প্রক্রিয়া শুরু করতে পাওয়ার বাটনেই ৪-৫ সেকেন্ড ধরে রাখতে হয়।

রিসেট বাটন চাপলে কী হয়
রিসেট বা রিস্টার্ট বাটন চাপলে (প্রেস করলে) সিস্টেম ‘রিসেট’ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং সমস্যা-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে আসে। এক্ষেত্রে ডিভাইস শাটডাউন হয়ে পুনরায় স্টার্ট হয়। ফলে অস্থায়ী/সাময়িক ডেটা মুছে যায় এবং ক্যাশ মেমোরি খালি হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যেই হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্টগুলো পুনরায় কাজ করতে শুরু করে। ফলে সিস্টেম আবার সচল হয়ে ওঠে।

রিসেট বাটন কীভাবে কাজ করে
রিসেট বাটনে চাপ দেওয়ার (প্রেস করার) পর সিস্টেমে একটি সিগন্যাল পৌঁছাবে, যার ফলে সিস্টেম পূর্বনির্ধারিত একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। প্রক্রিয়াটি শুরু হলে ডিভাইসের ক্যাশ মেমোরিতে থাকা অস্থায়ী ডেটা মুছে যাবে, চলতি কাজ বন্ধ হয়ে যাবে এবং সিস্টেম ‘ডিফল্ট’ বা প্রাথমিক সেটিংসে ফিরে যাবে। তবে রিসেট বাটনের কাজ কী হবে, সেটা ডিভাইসের সফটওয়্যার ও ফার্মওয়্যার-এর ওপরও নির্ভর করে।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

রিসেট বাটন কী, এটা চাপলে কী হয়

আপডেট সময় : ০২:১১:৩৮ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

ইলেকট্রনিক্স পণ্য সম্পর্কে যারা সামান্য হলেও ধারণা রাখেন ‘রিসেট বাটন’ টার্মটি তাদের কাছে অপরিচিত নয়। বিশেষ করে স্মার্টফোন ব্যবহারকারীদের প্রায় সকলেই ‘রিসেট’ বা ‘ফ্যাক্টরি রিসেট’ অপশনটির সাথে পরিচিত। কেননা আমাদের ফোনে পান থেকে চুনটি খসলেই ‘রিসেট’ করার প্রসঙ্গটি সামনে চলে আসে। এ যেন বর্তমান অসঙ্গতির সমাধানে পুরোনো সবকিছু মুছে ফেলে নতুন করে শুরুর প্রয়াস।

স্মার্টফোনের পাশাপাশি দৈনন্দিন জীবনে ব্যবহৃত বিভিন্ন প্রযুক্তি পণ্য যেমন পার্সোনাল কম্পিউটার (ডেস্কটপ ও ল্যাপটপ উভয়ই), ট্যাবলেট, নেটওয়ার্ক রাউটার, এয়ারকন্ডিশনার, টিভি, ওয়াটার হিটার, এমনকি ডিশওয়াশারেও থাকে রিসেট বাটন বা অপশন। পণ্যভেদে ‘রিসেট’ ফাংশনের নাম ভিন্ন হলেও কাজ একই। চলুন রিসেট বাটন সম্পর্কে আলোচনা হয়ে যাক।

রিসেট শব্দের আভিধানিক অর্থ
গুগল ট্রান্সলেটে ইংরেজি ‘রিসেট’ শব্দটির বাংলা অর্থ করলে দাঁড়ায় পুনঃস্থাপন করা বা পুনরায় স্থাপন করা। অর্থাৎ, কোনো কিছুকে তার পূর্বের অবস্থায় ফিরিয়ে আনা। সহজ করে বললে, পুনরায় বা নতুন করে ‘সেট’ করাই হলো ‘রিসেট’।

কলিন্স ডিকশনারি ‘রিসেট’ শব্দটিকে সংজ্ঞায়িত করেছে একটু অন্যভাবে। তাদের মতে, কোনো ডিভাইস বা মেশিনকে রিসেট করার অর্থ হলো এটিকে এমন একটি অবস্থায় নিয়ে আসা, যাতে এটি আবার কাজ করার উপযোগী হয়ে ওঠে। অর্থাৎ, উদ্ভূত কোনো সমস্যা সমাধানের প্রেক্ষাপটেই রিসেট করার প্রয়োজনীয়তা অনুভূত হয়।

রিসেট বাটন বা অপশন কী?
পার্সোনাল কম্পিউটারের মতো ইলেকট্রনিক্স পণ্যে ‘রিসেট’ করার অর্থ হচ্ছে বিদ্যমান কোনো ত্রুটি বা সমস্যা সমাধানের উদ্দেশ্যে ডিভাইসের আভ্যন্তরীণ সিস্টেমকে স্বাভাবিক অবস্থায় বা প্রাথমিক অবস্থায় ফিরিয়ে নেওয়া। আর রিসেটের মাধ্যমে এই পুরো কাজটিই করা হয় নিয়ন্ত্রিত উপায়ে।

সাধারণত কোনো সমস্যার পরিপ্রেক্ষিতেই একজন ব্যবহারকারী সিস্টেম রিসেট করে থাকেন। অর্থাৎ, কোনো সমস্যা বা ত্রুটির প্রতিক্রিয়া হিসেবেই এই রিসেট বাটন বা অপশনের দ্বারস্থ হতে হয়। সিস্টেমে বিদ্যমান এক বা একাধিক ত্রুটির কারণে ডিভাইস কাজ করার অনুপযোগী হয়ে পড়লে কিংবা সিস্টেম পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়া ব্যর্থ হলে রিসেট বাটন বা অপশনকেই ত্রুটি সারানোর প্রাথমিক পদক্ষেপ হিসেবে গণ্য করা হয়।

একটু অন্যভাবে বললে, রিসেট বাটন হলো হার্ডওয়্যার বা সফটওয়্যারের একটি প্রক্রিয়া, যার মাধ্যমে ব্যবহারকারী তার ডিভাইস বা সিস্টেমকে স্বাভাবিক অবস্থায় বা সমস্যা-পূর্ব অবস্থায় ফিরিয়ে আনতে সমর্থ হয়। রিসেট বাটন টিপে বা রিসেট অপশনটি ব্যবহার করে সিস্টেম পুনরুদ্ধারের প্রক্রিয়াটি ব্যবহারকারী নিজেই শুরু করতে পারেন।

সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার রিসেটের মধ্যে পার্থক্য
ইলেকট্রনিক্স ডিভাইসে ‘রিসেট’ বিষয়টি সফটওয়্যার ও হার্ডওয়্যার দু’রকমই হতে পারে। ডিভাইসের বডিতে উপস্থিত রিসেট বাটনটি চেপে (প্রেস করে) সিস্টেমের ত্রুটি সারানোই হলো সফটওয়্যার রিসেট। অন্যদিকে ডিভাইসের সফটওয়্যার ইন্টারফেস বা সেটিংস মেনু থেকে সিস্টেম রিসেট করাই হলো সফটওয়্যার রিসেট।

সাধারণত সফটওয়্যার রিসেট কাজ না করলে বা সিস্টেম কোনো কারণে হ্যাং করলে হার্ডওয়্যার রিসেটের পথে হাঁটতে হয়। অর্থাৎ, হার্ডওয়্যার রিসেট হচ্ছে কিছুটা জোর করে সিস্টেমকে রিসেট করানো, যা সাধারণত কাঙ্ক্ষিত নয়। অন্যদিকে সফটওয়্যার রিসেটে অনেক বেশি নিয়ন্ত্রণ থাকে ব্যবহারকারীর হাতে এবং এক্ষেত্রে রিসেট প্রক্রিয়া শুরুর আগে বেশ কিছু অতিরিক্ত অপশনও প্রদান করা হয় ব্যবহারকারীকে। এই যেমন মাইক্রোসফটের উইন্ডোজ অপারেটিং সিস্টেম রিসেটের সময় ‘রিস্টার্ট’, ‘শাট ডাউন’, সিস্টেম ‘আপডেট’-এর মতো অপশনগুলো ব্যবহারের সুযোগ থাকে।

কোথায় থাকে রিসেট বাটন বা অপশন
সফটওয়্যার রিসেট সাধারণত ডিভাইসের সেটিংস মেনু বা স্টার্ট মেনুতে গিয়ে করতে হয়। অন্যদিকে হার্ডওয়্যারভিত্তিক রিসেট বাটন বিভিন্ন ডিভাইসে বিভিন্ন অবস্থানে দেখা যায়। এই যেমন ডেস্কটপ কম্পিউটারে ‘পাওয়ার’ বাটনের পাশে বা নিচেই সাধারণত ‘রিস্টার্ট’ বাটন দেখা হয়। আবার রাউটার ও মডেমের ক্ষেত্রে রিসেট বাটন দেওয়া থাকে ডিভাইসের পেছন দিকে। ল্যাপটপে রিসেট বাটন আলাদা করে থাকে না, তাই রিসেট প্রক্রিয়া শুরু করতে পাওয়ার বাটনেই ৪-৫ সেকেন্ড ধরে রাখতে হয়।

রিসেট বাটন চাপলে কী হয়
রিসেট বা রিস্টার্ট বাটন চাপলে (প্রেস করলে) সিস্টেম ‘রিসেট’ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যায় এবং সমস্যা-পূর্ববর্তী অবস্থায় ফিরে আসে। এক্ষেত্রে ডিভাইস শাটডাউন হয়ে পুনরায় স্টার্ট হয়। ফলে অস্থায়ী/সাময়িক ডেটা মুছে যায় এবং ক্যাশ মেমোরি খালি হয়ে যায়। এই প্রক্রিয়ায় কিছুক্ষণের মধ্যেই হার্ডওয়্যার কম্পোনেন্টগুলো পুনরায় কাজ করতে শুরু করে। ফলে সিস্টেম আবার সচল হয়ে ওঠে।

রিসেট বাটন কীভাবে কাজ করে
রিসেট বাটনে চাপ দেওয়ার (প্রেস করার) পর সিস্টেমে একটি সিগন্যাল পৌঁছাবে, যার ফলে সিস্টেম পূর্বনির্ধারিত একটি প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যাবে। প্রক্রিয়াটি শুরু হলে ডিভাইসের ক্যাশ মেমোরিতে থাকা অস্থায়ী ডেটা মুছে যাবে, চলতি কাজ বন্ধ হয়ে যাবে এবং সিস্টেম ‘ডিফল্ট’ বা প্রাথমিক সেটিংসে ফিরে যাবে। তবে রিসেট বাটনের কাজ কী হবে, সেটা ডিভাইসের সফটওয়্যার ও ফার্মওয়্যার-এর ওপরও নির্ভর করে।