ঢাকা ০৫:৫৩ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
সংবাদ শিরোনাম ::
আসিফ নজরুলকে হেনস্তা, জেনেভার শ্রম কাউন্সেলরকে প্রত্যাহার ১৮৪ কোটি টাকা পাচার: বিএনপি নেতা ফালুসহ তিনজনকে অব্যাহতি সাবেক অতিরিক্ত সচিবের বাসায় যৌথবাহিনীর অভিযানে যা মিলল ডেঙ্গুতে আরও ১০ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ৯৬৬ কোনো রাজনৈতিক দল নিষিদ্ধের পক্ষে নয় বিএনপি: মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর কোষ্টগার্ডের অভিযানে দেশীয় অস্ত্র,বাহিনীর পোষাক ও মাদকসহ আটক-২ অন্তর্বর্তী সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলনের ঘোষণা আওয়ামীলীগের রাষ্ট্রপতি ইস্যু সাংবিধানিক প্রক্রিয়ায় হওয়া উচিত: মির্জা ফখরুল ১‌ জনে হবে না, ৪ জন লাগবে : শ্রীলেখা মিত্র আপনার যেসব বদঅভ্যাসের কারণেই কমে যাচ্ছে স.হ.বা.সের চাহিদা

সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং

আন্তর্জাতিক ডেস্ক
  • আপডেট সময় : ০২:১৮:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪
  • / ৭৬৮৮ বার পড়া হয়েছে
আজকের জার্নাল অনলাইনের সর্বশেষ নিউজ পেতে অনুসরণ করুন গুগল নিউজ (Google News) ফিডটি

২০২৪ সালে সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং। মানুষের জীবনের ভঙ্গুরতা, যন্ত্রণার কথা বার বার হানের কলমে উঠে এসেছে আর গদ্য হয়ে উঠেছে কবিতা।

নোবেল কমিটির পক্ষ জানানো হয়েছে, সে কারণেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে হানকে। পুরস্কার বাবদ সুইডেনের অ্যাকাডেমির তরফে ১১ লক্ষ সুইডিশ ক্রাউন (১১ লক্ষ আমেরিকান ডলার) দেওয়া হবে তাঁকে। ভারতীয় মুদ্রায় ৯ কোটি টাকারও বেশি। ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে হানের হাতে।

১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াঙ্গজুতে জন্ম হানের। তাঁর বাবাও বিশিষ্ট সাহিত্যিক। কবিতা দিয়েই সাহিত্যে হাতেখড়ি হানের। ১৯৯৩ সালে প্রথম বার তাঁর পাঁচটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ‘উইন্টার ইন সোল’ কবিতাটিও। মুনহাক-গুয়া-সাহো (লিটারেচার অ্যান্ড সোসাইটি)-এর শীতকালীন ইস্যুতে ছাপা হয়েছিল সেই কবিতা। পরের বছর ১৯৯৪ সালে ঔপন্যাসিক হিসাবে হাতেখড়ি হয় হানের। ওই বছরই তিনি সোল শিনমুন বসন্তকালীন প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন প্রকাশিত হয়। সেই সংকলনের নাম ছিল ‘ইয়োসু’। ১৯৯৮ সালে আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন মাসের জন্য লেখালিখির একটি আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। কোরিয়ার আর্টস কাউন্সিল সাহায্য করেছিল হানকে।

এর পর ‘ফ্রুটস অফ মাই ওম্যান’ (২০০০), ‘স্যালাম্যান্ডার’ (২০১২)-এর মতো ছোটগল্প সংকলন প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। ‘ব্ল্যাক ডিয়ার’ (১৯৯৮), ‘ইওর কোল্ড হ্যান্ডস’ (২০০২), ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ (২০০৭) ‘ব্রিদ ফাইটিং’ (২০১০)-এর মতো উপন্যাসেরও জন্ম দিয়েছে তাঁর কলম। ‘দ্যা ভেজিটেরিয়ান’-এর জন্য ২০১৬ সালে বুকার পুরস্কার পেয়েছিলেন হান। তাঁর সাম্প্রতিক উপন্যাস ‘আই ডু নট বিড ফেয়ারওয়েল’-এর জন্য ২০২৩ সালে ফ্রান্সে মেডিসিস পুরস্কার পেয়েছিলেন।

হানের লেখনীতে মানুষের মানসিক এবং শারীরিক যন্ত্রণা উঠে এসেছে বার বার। ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলে, তা বার বার খুঁজেছেন হান। তার পর তুলে ধরেছেন নিজের লেখনীতে। সেখানে ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির যন্ত্রণা মিলেমিশে একাকার হয়েছে। ২০১৪ সালে তাঁর লেখা ‘হিউম্যান অ্যাক্ট’-এর প্রেক্ষাপট এ রকমই এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ১৯৮০ সালে গুয়াংজুতে বিক্ষোভ দেখিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষার্থীরাও। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা, হিংসা, প্রতিরোধ উঠে এসেছিল ‘হিউম্যান অ্যাক্ট’-এ।

নিউজটি শেয়ার করুন

ট্যাগস :

সাহিত্যে নোবেল পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং

আপডেট সময় : ০২:১৮:৪১ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১১ অক্টোবর ২০২৪

২০২৪ সালে সাহিত্যের জন্য নোবেল পুরস্কার পেলেন দক্ষিণ কোরিয়ার হান কাং। মানুষের জীবনের ভঙ্গুরতা, যন্ত্রণার কথা বার বার হানের কলমে উঠে এসেছে আর গদ্য হয়ে উঠেছে কবিতা।

নোবেল কমিটির পক্ষ জানানো হয়েছে, সে কারণেই এই স্বীকৃতি দেওয়া হয়েছে হানকে। পুরস্কার বাবদ সুইডেনের অ্যাকাডেমির তরফে ১১ লক্ষ সুইডিশ ক্রাউন (১১ লক্ষ আমেরিকান ডলার) দেওয়া হবে তাঁকে। ভারতীয় মুদ্রায় ৯ কোটি টাকারও বেশি। ১০ ডিসেম্বর স্টকহোমে আনুষ্ঠানিক ভাবে এই পুরস্কার তুলে দেওয়া হবে হানের হাতে।

১৯৭০ সালে দক্ষিণ কোরিয়ার গোয়াঙ্গজুতে জন্ম হানের। তাঁর বাবাও বিশিষ্ট সাহিত্যিক। কবিতা দিয়েই সাহিত্যে হাতেখড়ি হানের। ১৯৯৩ সালে প্রথম বার তাঁর পাঁচটি কবিতা প্রকাশিত হয়েছিল। তার মধ্যে ছিল ‘উইন্টার ইন সোল’ কবিতাটিও। মুনহাক-গুয়া-সাহো (লিটারেচার অ্যান্ড সোসাইটি)-এর শীতকালীন ইস্যুতে ছাপা হয়েছিল সেই কবিতা। পরের বছর ১৯৯৪ সালে ঔপন্যাসিক হিসাবে হাতেখড়ি হয় হানের। ওই বছরই তিনি সোল শিনমুন বসন্তকালীন প্রতিযোগিতায় জয়ী হয়েছিলেন। ১৯৯৫ সালে তাঁর প্রথম ছোটগল্প সংকলন প্রকাশিত হয়। সেই সংকলনের নাম ছিল ‘ইয়োসু’। ১৯৯৮ সালে আইওয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে তিন মাসের জন্য লেখালিখির একটি আন্তর্জাতিক কর্মসূচিতে যোগ দিয়েছিলেন। কোরিয়ার আর্টস কাউন্সিল সাহায্য করেছিল হানকে।

এর পর ‘ফ্রুটস অফ মাই ওম্যান’ (২০০০), ‘স্যালাম্যান্ডার’ (২০১২)-এর মতো ছোটগল্প সংকলন প্রকাশিত হয়েছে তাঁর। ‘ব্ল্যাক ডিয়ার’ (১৯৯৮), ‘ইওর কোল্ড হ্যান্ডস’ (২০০২), ‘দ্য ভেজিটেরিয়ান’ (২০০৭) ‘ব্রিদ ফাইটিং’ (২০১০)-এর মতো উপন্যাসেরও জন্ম দিয়েছে তাঁর কলম। ‘দ্যা ভেজিটেরিয়ান’-এর জন্য ২০১৬ সালে বুকার পুরস্কার পেয়েছিলেন হান। তাঁর সাম্প্রতিক উপন্যাস ‘আই ডু নট বিড ফেয়ারওয়েল’-এর জন্য ২০২৩ সালে ফ্রান্সে মেডিসিস পুরস্কার পেয়েছিলেন।

হানের লেখনীতে মানুষের মানসিক এবং শারীরিক যন্ত্রণা উঠে এসেছে বার বার। ঐতিহাসিক ঘটনাগুলি মানুষের জীবনে কী প্রভাব ফেলে, তা বার বার খুঁজেছেন হান। তার পর তুলে ধরেছেন নিজের লেখনীতে। সেখানে ব্যক্তির সঙ্গে সমষ্টির যন্ত্রণা মিলেমিশে একাকার হয়েছে। ২০১৪ সালে তাঁর লেখা ‘হিউম্যান অ্যাক্ট’-এর প্রেক্ষাপট এ রকমই এক ঐতিহাসিক ঘটনা। ১৯৮০ সালে গুয়াংজুতে বিক্ষোভ দেখিয়ে প্রাণ হারিয়েছিলেন বহু মানুষ। তাঁদের মধ্যে ছিলেন শিক্ষার্থীরাও। সেই ভয়ঙ্কর ঘটনা, হিংসা, প্রতিরোধ উঠে এসেছিল ‘হিউম্যান অ্যাক্ট’-এ।