২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিন নিয়ে কর্মপরিকল্পনা চূড়ান্ত পরিবেশ উপদেষ্টা
- আপডেট সময় : ০৯:১৯:৫৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৮ অক্টোবর ২০২৪
- / ৭৬৯২ বার পড়া হয়েছে
সেন্টমার্টিন দ্বীপে একবার ব্যবহারযোগ্য প্লাস্টিক নিষিদ্ধ করা, দ্বীপে রাত্রিযাপন এবং পর্যটকের সংখ্যা নির্ধারণসহ বিভিন্ন বিষয় নিয়ে একটি কর্মপরিকল্পনা আগামী ২০ অক্টোবরের মধ্যে চূড়ান্ত করা হবে বলে জানিয়েছেন পরিবেশ, বন ও জলবায়ু পরিবর্তন উপদেষ্টা সৈয়দা রিজওয়ানা হাসান।
মঙ্গলবার (৮ অক্টোবর) সচিবালয়ে ‘সুন্দরবন বাঘ জরিপ-২০২৪’ এর ফলাফল ঘোষণা উপলক্ষে সংবাদ সম্মেলনে উপদেষ্টা এ কথা জানান।
গতকাল আপনারা সেন্টমার্টিন দ্বীপ সংশ্লিষ্টদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। সেখানে কী কী সুপারিশ এসেছে- জানতে চাইলে উপদেষ্টা বলেন, ‘সেখানে যারা হোটেল ও জাহাজ চালান তারা একমত হয়েছেন যে, সেখানে একবার ব্যবহারযোগ্য কোনো প্লাস্টিক ঢুকতে দেওয়াই উচিত নয়। কেউ কেউ এমনও বলেছেন যে, চানাচুর, চিপস, আচার- এগুলো ওখানে ঢুকতে দেওয়াই উচিত না।’
উপদেষ্টা বলেন, ‘তাদের সঙ্গে আরেকটা আলোচনা হয়েছে, সরকারি পর্যায়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন সিদ্ধান্ত হয়েছে। সেগুলো ঐক্যমতের ভিত্তিতে নেওয়া সিদ্ধান্ত কিন্তু সেগুলো কেন বাস্তবায়িত হয়নি। আমরা যদি সেগুলো বাস্তবায়ন করতে চাই তাহলে সেখানে তাদের বক্তব্য কি? তারা আমাদের বলেছেন, তাদের যে বাকি সদস্য রয়েছেন, তাদের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানাবেন।’
‘তারা বলেছেন তাদের সঙ্গে আলোচনা না করে আগের সরকার একতরফাভাবে ওই সিদ্ধান্তগুলো নিয়েছিল।’ যোগ করেন উপদেষ্টা।
সৈয়দা রিজওয়ান আহসান বলেন, ‘আমরা তাদের বলেছি, সরকারি সিদ্ধান্ত ছিল সেন্টমার্টিনে পর্যটকদের রাতে থাকতে দেওয়া যাবে না, সিদ্ধান্ত ছিল নির্দিষ্ট সংখ্যকের বেশি পর্যটক সেন্টমার্টিনে যেতে পারবেন না- এখানে তাদের বক্তব্য কী? তারা একমত হয়েছেন যে সেখানে পর্যটক নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। কিন্তু সংখ্যাটা কী হবে, সেটা তারা তাদের অন্যান্য সদস্যের সঙ্গে কথা বলে আমাদের জানাবেন।’
পরিবেশ ও বন উপদেষ্টা বলেন, ‘পর্যটন বিভাগেরও এ বিষয়ে বক্তব্য আছে। জাহাজ যারা চালান তাদেরও একটা বক্তব্য আছে। আমরা হোটেল মালিক ও সেখানকার জাহাজ মালিকদের মতামত আমরা পাবো।’
‘সেখানে পর্যটকদের রাত্রিযাপন এবং পর্যটকের সংখ্যা সীমিত করার বিষয়ে তারা তাদের মতামত আমাদের ১৫ অক্টোবরের মধ্যে জানাবেন। এরপর সরকারি সংস্থার সঙ্গে কথা বলে আশাকরি ২০ অক্টোবরের মধ্যে সেন্টমার্টিনের ব্যাপারে আমাদের কর্মপরিকল্পনাটা আমরা নিতে পারবা।’ যোগ করেন উপদেষ্টা।
সেন্টমার্টিনে প্রচুর কুকুর আছে জানিয়ে তিনি বলেন, ‘কুকুর নিয়ে যে বিশেষজ্ঞ সংস্থাগুলো কাজ করে তারা ওখানে গিয়ে কুকুর বন্ধ্যাকরণের কাজ শুরু করলে তারা (হোটেল মালিকরা) সহযোগিতা করবেন।’