নারায়ণগঞ্জে বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষ, আহত ২০
- আপডেট সময় : ০৫:৪৯:৫১ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ সেপ্টেম্বর ২০২৪
- / ৭৬৮৬ বার পড়া হয়েছে
নারায়ণগঞ্জের ফতুল্লায় বিএনপির দুই গ্রুপের সংঘর্ষে অন্তত ২০ জন আহত হয়েছেন। বুধবার (১১ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ফতুল্লার বটতলা এলাকায় সংঘর্ষের এ ঘটনা ঘটে।
সংঘর্ষের দুই গ্রুপের লোকজনদের হাতেই রাম দা, ধারালো অস্ত্র, রড ও লাঠিসোটা দেখা গেছে। সেই সঙ্গে সংঘর্ষ নিয়ে থানা বিএনপির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদক পাল্টাপাল্টি একে অন্যদের দোষারোপ করেছেন। এ ঘটনায় আহত হয়েছে ফতুল্লা থানা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিনসহ অন্তত ২০ জন।
বিএনপি নেতাকর্মীদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, সন্ত্রাস, নৈরাজ্য ও চাঁদাবাজ প্রতিরোধের একই ব্যানারে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপি ও ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি একই সময়ে মিছিল বের করে। এর মধ্যে ফতুল্লা ইউনিয়ন বিএনপির মিছিলে ছিলেন সাধারণ সম্পাদক আলমগীর হোসেন। তিনি মূলত থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট বারী ভূঁইয়া সমর্থক।
অপরদিকে থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু সমর্থিত ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপির ব্যানারে মিছিলে ছিলেন ফতুল্লা স্বেচ্ছাসেবক দলের আহ্বায়ক জাকির হোসেন রবিনসহ আরও অনেকে।
দুই দলের মিছিল রেললাইন বটতলা এলাকাতে পৌঁছালে উভয়পক্ষ সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। প্রায় আধাঘণ্টা ধরে ফতুল্লার শিবু মার্কেট হতে পোস্ট অফিস সড়কে যান চলাচল বন্ধ থাকে। ভাঙচুর করা হয় আশেপাশের বেশ কয়েকটি বসতবাড়ি।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সভাপতি শহীদুল ইসলাম টিটু বলেন, বিকেল ৩টার দিকে ফতুল্লা ইউনিয়নের ৫ নম্বর ওয়ার্ড বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা এলাকা থেকে মাদক, সন্ত্রাস দূর করতে একটি শান্তি মিছিল নিয়ে বের হয়। এসময় শামীম ওসমানের লোক আলাউদ্দিন হাজীর ছেলেরা আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর অতর্কিত হামলা, গুলিবর্ষণ করেন। এ ঘটনায় বেশ কয়েকজন আহত হয়েছেন। কী কারণে আমাদের নেতাকর্মীদের ওপর এমন বর্বর হামলা করলো সেটি আমার জানা নেই।
ফতুল্লা থানা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট আব্দুল বারী ভূঁইয়া বলেন, ফতুল্লা থানা বিএনপির সাংগঠনিক সম্পাদক রিয়াদ, যুবলীগ নেতা মীর সোহেলের লোকজন এ হামলা করেন। রিয়াদ একজন বিপদগামী বিএনপি নেতা।
ফতুল্লা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) সোলায়মান মাহামুদ বলেন, আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ওই এলাকার দুটি গ্রুপের মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। খবর পাওয়া মাত্রই পুলিশ ঘটনাস্থলে গেলে পুলিশের উপস্থিতি পেয়ে দুই পক্ষই পালিয়ে যান। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এ ঘটনায় থানায় কোনো অভিযোগ দায়ের করা হয় নি।